শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসের গোডাউনের ভোল্ট থেকে সাড়ে ১৯ ভরি স্বর্ণ চুরির মামলায় আরও এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে আটক করেছে সিআইডি পুলিশ। আরশাদ হোসেন নামে ওই কর্মকর্তাকে গত শনিবার সন্ধ্যায় সর্বশেষ কর্মস্থল মুন্সীগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করা হয়।
তিনি বেনাপোল কাস্টম হাউসের গোডাউন ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন। আটক আরশাদ হোসেন বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার অশ্বিকাপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ যশোরের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানান, স্বর্ণ চুরির মামলায় ইতোপূর্বে বেনাপোল কাস্টম হাউসের গোডাউনে বিভিন্ন সময় কর্মরত ৪ জন ইনচার্জকে (সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা) আটক করা হয়। তাদের আদালতে দেয়া জবানবন্দির তথ্যের ভিত্তিতে আরশাদ হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) তাকে যশোরের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
সিআইডির দাবি, ঘটনার আগে আটক আরশাদ হোসেন ওই ভোল্টের ইনচার্জ ছিলেন। ওইসময় তার কাছেই চাবি থাকত। তাছাড়া সোনা চুরি হওয়ার পরও লকারের তালা অক্ষত থাকায় আরশাদ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে ১১ নভেম্বর সকাল ৮টার মধ্যে যে কোনো সময় বেনাপোল কাস্টম হাউসের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলার গোডাউনের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে চোরেরা। এরপর গোডাউনের ভেতরে থাকা ভোল্ট চাবি দিয়ে খুলে চোরেরা ১৯ কেজি ৩১৮ দশমিক ৩ গ্রাম স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায়। যার মূল্য ১০ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার তিনশ ৬২ টাকা।
এই ভোল্টের চাবি থাকতো সর্বশেষ ইনচার্জ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিবুলের কাছে। এছাড়া গোডাউনের বিভিন্ন লকারে স্বর্ণসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল। সেগুলো ছিল অক্ষত। ঘটনার সময় সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল রহস্যজনক কারণে।
বিষয়টি জানাজানি হলে কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা এমদাদুল হক অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। একইসাথে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গোডাউন ইনচার্জ শাহিবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে পুলিশ বরখাস্ত গোডাউন ইনচার্জ শাহিবুলকে স্বর্ণচুরির মামলায় আটক করে।
এছাড়া পরবর্তীতে সাবেক গোডাউন ইনচার্জ বিশ্বনাথ কুন্ডুসহ আরও ৩ কর্মকর্তাকে আটক করে তদন্ত সংস্থা সিআইডি পুলিশ। সর্বশেষ গত শনিবার সন্ধ্যায় আটক করা হয় সাবেক গোডাউন ইনচার্জ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আরশাদ হোসেনকে। এ নিয়ে গোডাউনে বিভিন্ন সময় দায়িত্বে থাকা ৫ কর্মকর্তাকে আটক করা হলো। তাকেও রিমান্ডে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।